ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

আপলোড সময় : ০২-০৯-২০২৪ ০২:১৯:১২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০২-০৯-২০২৪ ০২:১৯:১২ অপরাহ্ন
সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাঁথিয়া উপজেলা শাখার স্বঘোষিত ভুয়া প্রধান সমন্বয়ক ও ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন শিশির (২৯)। পরে তাকে আটক করে পুলিশ।

শনিবার (৩১ আগষ্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শিশির উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও কোনাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।

সাঁথিয়া থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাঁথিয়া উপজেলা শাখার স্বঘোষিত ভূয়া সভাপতি ও ছাত্রদলের নেতা শিশির শনিবার বিকেলে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোকাকোলা বিক্রির অভিযোগ নিয়ে অপর বন্ধু কোনাবাড়িয়া গ্রামের জুয়েলের ছেলে সানীকে (৩০) নিয়ে ধোপাদহ বাজারে মনিরুজ্জামানের দোকানে যান।

মেয়াদ উত্তীর্ণ কোকাকোলা বিক্রয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে পাঠিয়েছে বলে জানান। এ সময় দোকানদারের আরেক ভাই রোকনুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে তারা মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আসেন। শিশির ও তার বন্ধুরা উপজেলা চত্বরে এসে ইউএনও'র কাছে না গিয়ে কৌশলে পরিষদের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। এসময় কোনাবাড়ীয়া গ্রামের মধুর ছেলে শাকিল (৩২) ও মিলটনের ছেলে তালহা (২৫) তাদের সাথে ছিলেন।

তারা দোকানদার মনিরুজ্জামানকে বলে ইউএনও'র কাছে গিয়েছিলাম। ইউএনও স্যার তোর ২ লাখ টাকা জরিমানা করবে। এখন তুই কি করবি বল। মনিরুজ্জামান ভয়ে বলেন, ভাই আমার কাছে তো অতো টাকা নাই কি করবো আমি? তখন শিশির বলে তুই এক লাখ টাকা দিয়ে চলে যা, তাহলে তোর আরো ১ লাখ টাকা বাঁচবে। ইউএনও আসলে কিন্তু তোর ২ লাখ টাকাই দিতে হবে। কোন রকমে দোকানদার মনিরুজ্জামান জান বাঁচানোর ভয়ে ৬০ হাজার টাকা যোগাড় করে তাদের হাতে দিয়ে চলে যায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে আলোচনার প্রেক্ষিতে দোকানদার মনিরুজ্জামান থানায় ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কেন লিখিত অভিযোগ দিলেন এইজন্য পুনরায় মনিরুজ্জামানকে ভয় ভীতি দেখানোর জন্য শিশির ও ছানি ধোপাদাহ বাজারে যায়। এসময় এলাকাবাসী দোকানদার মনিরুজ্জামানকে ভয় দেখাতে এসেছে টের পেয়ে শিশিরকে ধরে গণধোলাই দেয়। সাথে থাকা সানি কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। শিশিরের চাঁদা নেয়া ৬০ হাজার টাকা থানা পুলিশের কাছে ফেরত দেয়।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, 'এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। আটক শিশিরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমার নামে চাঁদাবাজি করে সে অবশ্যই জঘন্যতম কাজ করেছে। আমার নামে যদি কেউ চাঁদা দাবি করে তাহলে অবশ্যই কেউ চাঁদা দেবেন না এবং আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ